বার্তা সম্পাদক শামীম শাহরিয়ার।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তান আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তবে হামলায় বেঁচে যান আ’লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এ হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ভারত সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন চার্জশিট দাখিল করে। ওই চার্জশিটে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার পক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন আব্দুল কাহার আকন্দ। এতে এ মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জন। ৫২ আসামির মধ্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় অন্য মামলায়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা নেমে আছে ৪৯ জনে।
গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেয়া বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু হানিফ পরিবহনের , মালিক বিএনপি নেতা হানিফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই এই মামলায় তাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল।গতকাল এ মামলার রায় শুনানি হয়। রায় শোনার পর দন্ডিতদের স্বজনরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। এ সময় যুক্তরাজ্য শাখা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আয়োজিত এক আলোচনা সভা এবং দোয়ার আয়োজন করে।এর মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুক্তরাজ্য জনাব আহসান উদ্দিন মানিক হাই। জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখা। সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সম্মানিত আহবায়ক এবং হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোঃ হানিফ সহ উপস্হিত অনেকে বক্তৃতা রাখেন।